ঢাকা জেলা প্রতিনিধি: ঢাকা জেলার সাভারের স্থানীয় দৈনিক ফুলকি পত্রিকার ফটো সাংবাদিক হারুন উর রশীদ কে আসামী করে মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে গত ২৭ শে জুন ২০২১ ইং সালে সাভার থানায় মামলা করেন নিহত মুরাদুর রহমান মুরাদ এর ভাই মামুনুর রশীদ মামুন, ঘটনার বিবরনে জানা যায় গত ২২/০৬/২০২১ ইং সালে মুরাদুর রহমান মুরাদ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে বাড়ী ফেরার পথে রাত অনু: ১০.৪৫ মিনিটের সময় সাভার মন্ডলপাড়া মহল্লার প্রবেশ মূখে দুবৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। তার শরিরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। তিনি একজন তালিকাভূক্ত ঠিকাদার। টেন্ডার জমা প্রদান সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সাথে স্থানীয় প্রভাবশালী ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীদের বিরোধ ছিল। ধারনা করা হচ্ছে ব্যবসায়ীক প্রভাব বিস্থারকে কেন্দ্র করে মুরাদুর রহমান মুরাদ কে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে কিন্তু রহস্যের জন্ম দেয় ঘটনা ভিন্নদিকে প্রবাহিত হবার কারণে। বিগত ২২ শে জুন ২০২১ ইং তারিখে খুনের ঘটনা ঘটে। ২৩ শে জুন ২০২১ ইং সালে স্থানীয় ফুলকি পত্রিকায় এই বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয় । পত্রিকায় যে ছবি প্রকাশ করা হয় তাহা ধারন করেন সাভার ফুলকি পত্রিকার ফটো সাংবাদিক হারুন উর রশীদ। রহস্য জনক কারনে মামলা হয় ২৭ শে জুন ২০২১ ইং সালে।
অনুসন্ধনের তথ্য মতে নিহত ঠিকাদার মুরাদুর রহমান মুরাদের সাথে যাদের পূর্ব শত্রুতা ও ব্যবসায়ীক দ্বন্দ রয়েছে তাদের মধ্যে এলাকার ক্ষমতাসীন দলের নেতা, একজন ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড কমিশনার রয়েছেন। তাদের আসামী না করে ফুলকি পত্রিকার ফটো সাংবাদিক কে ২ নং আসামী করে ঘটনার ৫দিন পর ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় যে এজাহার দেয়া হয়েছে যাহা অত্যন্ত রহস্য জনক।
অন্তরালের সত্য উদঘাটের জন্য ফটো সাংবাদিক হারুন উর রশীদের পিতা সাভার থানার মন্ডল পাড়া গ্রামের বাদশা মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার ছেলে দৈনিক ফুলকি পত্রিকার ফটো সাংবাদিক, সে নিজেই নিহত মুরাদের ছবি তুলে পত্রিকায় পাঠায়। আমার ছেলেকে কেন আসামী করা হল তা বোধগম্য নয়। সম্পুর্ন উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও ষড়যন্ত্র মূলক। হত্যা মামলার ১ নং আসামী শাহ আলম (২৪) একজন যুবদল কর্মী এবং ৩ নং আসামী ফেরদৌস আলম (২৩) গন অধিকার পরিষদের কর্মী। তাদের পরিবারের সদস্যরা মামলাটি ষড়যন্ত্র মূলক বলে দারী করেন।
মুরাদুর রহমান মুরাদের প্রকৃত হত্যাকারীদের আড়াল করতে একটি প্রভাবশালী মহলের ক্ষমতার কারনে প্রশাসনকে বশীভুত করে ও বাদীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ফুলকি পত্রিকার ফটো সাংবাদিক হারুনুরুর রশীদ সহ নিরীহ ৯ জন সহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজাসন ও মন্ডলপাড়া এলাকাবাসী জানান। মুরাদ হত্যা মামলার প্রকৃত হত্যা কারীদের চিহিৃত করে সত্য প্রকাশের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি দাবী করেন এলাকাবাসী ।